ইসলামে নাজায়েজ বিষয় কি কি? জানুন ও সতর্ক থাকুন!
ইসলামে নাজায়েজ বিষয় কি কি?
আচ্ছা, আপনি কি জানতে চান ইসলামে কোন কাজগুলো করা নিষেধ? সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ইসলামে এমন কিছু বিষয় আছে যা আল্লাহ তা’আলা ও তাঁর রাসূল (সা.) কর্তৃক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা থাকা দরকার, যাতে আমরা নিজেদেরকে গুনাহ থেকে বাঁচাতে পারি। চলুন, আজ আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেই ইসলামে নাজায়েজ বিষয়গুলো কী কী।
ইসলামে নিষিদ্ধ কাজগুলো
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। এখানে মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রের জন্য সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিছু কাজ আছে যা সরাসরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, আবার কিছু কাজ আছে যা কিছু শর্তের অধীনে নাজায়েজ। নিচে এমন কিছু প্রধান নাজায়েজ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো:
শিরক করা
ইসলামে শিরক সবচেয়ে বড় গুনাহ। শিরক মানে আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করা। আল্লাহ তা’আলার ইবাদতে অন্য কাউকে অংশীদার বানানো অথবা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে কিছু চাওয়া—এগুলো সবই শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
সুদ খাওয়া
ইসলামে সুদ সম্পূর্ণ হারাম। কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে সুদের সাথে জড়িত হওয়া ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। সুদ শুধু ঋণ দেওয়া-নেওয়ার ক্ষেত্রেই নয়, বরং যেকোনো ব্যবসায়িক চুক্তিতেও যদি সুদের সামান্যতম সম্পর্ক থাকে, তা-ও নাজায়েজ।
ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া
ঘুষ একটি সামাজিক ব্যাধি। ইসলামে ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া দুটোই হারাম। এর মাধ্যমে সমাজে দুর্নীতি বিস্তার লাভ করে এবং মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন হয়।
জুয়া খেলা
জুয়া খেলা ইসলামে সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। এটা শুধু সময়ের অপচয় নয়, বরং এর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে লোভ ও হিংসা জন্ম নেয়, যা সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়।
মাদক দ্রব্য সেবন
ইসলামে মাদক দ্রব্য সেবন করা হারাম। যেকোনো ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য, যা মানুষের বিবেক-বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে ফেলে, তা সেবন করা নাজায়েজ। যেমন – মদ, গাঁজা, ইয়াবা ইত্যাদি। এগুলো মানুষের শরীর ও মনের জন্য ক্ষতিকর। প্রয়োজনে আপনি ডক্সিক্যাপ কেন খাবেন জেনে নিতে পারেন।
মিথ্যা কথা বলা
ইসলামে মিথ্যা বলা কবিরা গুনাহ। মিথ্যা মানুষকে সত্য থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং সমাজে অবিশ্বাসের জন্ম দেয়। একজন মুমিনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, সে সর্বদা সত্য কথা বলবে।
গীবত ও পরনিন্দা করা
গীবত মানে কারো অনুপস্থিতিতে তার দোষ চর্চা করা। এটা ইসলামে হারাম। পরনিন্দা বা একজনের কথা অন্যজনের কাছে লাগানোও অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ।
আত্মহত্যা করা
ইসলামে আত্মহত্যা মহাপাপ। জীবন আল্লাহ তা’আলার দান, তাই নিজের জীবন নিজে শেষ করার অধিকার কারো নেই। যে ব্যক্তি আত্মহত্যা করে, সে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে চলে যায়।
অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা
ইসলামে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে দখল করা বা আত্মসাৎ করা কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে। এটি একটি জঘন্য অপরাধ, যা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
ওজনে কম দেওয়া
ব্যবসা-বাণিজ্যে ওজনে কম দেওয়া বা মাপে কারচুপি করা ইসলামে হারাম। এটি অন্যের অধিকার হরণ করার শামিল।
প্রতারণা করা
ইসলামে যেকোনো ধরনের প্রতারণা নিষিদ্ধ। সেটা ব্যবসায়িক লেনদেন হোক কিংবা ব্যক্তিগত সম্পর্ক, সব ক্ষেত্রে প্রতারণা পরিহার করা উচিত।
ছবি ও মূর্তি তৈরি করা
ইসলামে প্রাণীর ছবি ও মূর্তি তৈরি করা কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে, কারণ এটি শিরকের দিকে ধাবিত করে। তবে, শিক্ষামূলক বা জরুরি প্রয়োজনে ছবি ব্যবহার করা জায়েজ।
গান-বাজনা শোনা
ইসলামে বাদ্যযন্ত্রের সাথে গান-বাজনা শোনা সাধারণভাবে নাজায়েজ। তবে, কিছু ইসলামিক স্কলার শুধুমাত্র কণ্ঠের মাধ্যমে সঙ্গীত পরিবেশনকে জায়েজ মনে করেন, যদি তাতে অশ্লীল বা অনৈসলামিক কিছু না থাকে।
পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার
ইসলামে পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা হারাম। তবে, নারীদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার করা বৈধ।
রেশমের পোশাক পরা
পুরুষদের জন্য রেশমের পোশাক পরা ইসলামে নাজায়েজ। তবে, নারীরা রেশমের পোশাক পরতে পারেন।
বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া
বেগানা নারীর প্রতি খারাপ উদ্দেশ্যে দৃষ্টি দেওয়া ইসলামে হারাম। দৃষ্টি সংযত রাখা এবং শালীনতা বজায় রাখা জরুরি।
পরকীয়া করা
ইসলামে পরকীয়া জঘন্যতম অপরাধগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিবাহিত নারী বা পুরুষ অন্য কারো সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হলে তা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক
ইসলামে বিবাহ বহির্ভূত যেকোনো শারীরিক সম্পর্ক হারাম। এটি সমাজের নৈতিক কাঠামোকে ভেঙে দেয় এবং পরিবারে অশান্তি ডেকে আনে।
সমকামিতা
ইসলামে সমকামিতা সম্পূর্ণরূপে হারাম। এটি একটি বিকৃত রুচি এবং প্রকৃতির বিরুদ্ধে কাজ।
নারীদের পুরুষের বেশভূষা ধারণ
নারীরা পুরুষের মতো পোশাক পরা বা আচরণ করা এবং পুরুষদের নারীদের মতো পোশাক পরা বা আচরণ করা ইসলামে নিষিদ্ধ।
তাকদীর অস্বীকার করা
তাকদীর বা ভাগ্যকে অস্বীকার করা ইসলামে নাজায়েজ। তাকদীরের ওপর বিশ্বাস রাখা ঈমানের অংশ।
গণকের কাছে যাওয়া
গণক বা ভবিষ্যৎ বক্তার কাছে গিয়ে ভাগ্য জানা বা কোনো বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া ইসলামে নিষেধ।
অন্ধভাবে অনুসরণ করা
কোনো কিছু না জেনে অন্ধভাবে অনুসরণ করা ইসলামে অনুচিত। যেকোনো বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে সঠিক পথে চলা উচিত।
ইসলামের নামে মিথ্যা কথা বলা
ইসলামের নামে মিথ্যা কথা বলা বা ভুল তথ্য ছড়ানো কবিরা গুনাহ।
অযথা ঝগড়া করা
অযথা ঝগড়া বা বিবাদে লিপ্ত হওয়া ইসলামে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা মুমিনের দায়িত্ব।
প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া
প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া ইসলামে হারাম। প্রতিবেশীর সাথে ভালো ব্যবহার করা এবং তাদের অধিকার রক্ষা করা জরুরি।
অহংকার করা
অহংকার করা বা নিজেকে বড় মনে করা ইসলামে অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। আল্লাহ তা’আলা অহংকারীদের পছন্দ করেন না।
কৃপণতা করা
ইসলামে কৃপণতা করা অপছন্দনীয়। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দান-সদকা করা এবং অভাবীদের সাহায্য করা উচিত।
অপচয় করা
ইসলামে অপচয় করা হারাম। প্রয়োজন অতিরিক্ত খরচ করা বা সম্পদ নষ্ট করা অনুচিত।
খেয়ানত করা
কারো সাথে বিশ্বাসघात করা বা আমানতের খেয়ানত করা ইসলামে জঘন্য অপরাধ।
ওয়াদা ভঙ্গ করা
ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করা মুনাফিকের লক্ষণ। ওয়াদা রক্ষা করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য।
মা-বাবার অবাধ্য হওয়া
মা-বাবার অবাধ্য হওয়া বা তাঁদের মনে কষ্ট দেওয়া ইসলামে কবিরা গুনাহ। তাঁদের সেবা করা এবং তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা সন্তানের কর্তব্য।
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা ইসলামে অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। আত্মীয়-স্বজনের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা এবং তাদের খোঁজখবর রাখা জরুরি। প্রয়োজনে আপনি দুর থেকে ভালোবাসার মানুষকে কাছে আনার উপায় জানতে পারেন।
অশ্লীল কথাবার্তা বলা
অশ্লীল বা খারাপ কথা বলা ইসলামে নিষেধ। সবসময় শালীন ও মার্জিত ভাষায় কথা বলা উচিত।
নামাজ ত্যাগ করা
নামাজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। বিনা কারণে নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গুনাহ।
রোজা না রাখা
রমজান মাসে বিনা কারণে রোজা না রাখা গুনাহের কাজ।
যাকাত না দেওয়া
যাকাত ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যাকাত না দেওয়া গুনাহের কাজ।
হজ না করা
সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ না করা গুনাহের কাজ।
ইসলামের বিধান অমান্য করা
ইসলামের কোনো বিধানকে অস্বীকার করা বা অমান্য করা ঈমান ভঙ্গের কারণ হতে পারে।
ইসলামে নাজায়েজ বিষয় নিয়ে কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
ইসলামে নাজায়েজ বিষয়গুলো নিয়ে অনেকের মনে কিছু প্রশ্ন আসতে পারে। তাই কয়েকটি সাধারণ প্রশ্নের উত্তর নিচে দেওয়া হলো:
ইসলামে ছবি তোলা কি হারাম?
ইসলামে প্রাণীর ছবি তোলা সাধারণভাবে মাকরুহ। তবে, শিক্ষামূলক বা জরুরি প্রয়োজনে ছবি ব্যবহার করা জায়েজ।
ইসলামে গান শোনা কি হারাম?
ইসলামে বাদ্যযন্ত্রের সাথে গান-বাজনা শোনা সাধারণভাবে নাজায়েজ। তবে, কিছু ইসলামিক স্কলার শুধুমাত্র কণ্ঠের মাধ্যমে সঙ্গীত পরিবেশনকে জায়েজ মনে করেন, যদি তাতে অশ্লীল বা অনৈসলামিক কিছু না থাকে।
ইসলামে পরকীয়া কি হারাম?
ইসলামে পরকীয়া জঘন্যতম অপরাধগুলোর মধ্যে অন্যতম। বিবাহিত নারী বা পুরুষ অন্য কারো সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত হলে তা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
ইসলামে সুদ কি হারাম?
ইসলামে সুদ সম্পূর্ণ হারাম। কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে সুদের সাথে জড়িত হওয়া ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
ইসলামে ঘুষ কি হারাম?
ঘুষ একটি সামাজিক ব্যাধি। ইসলামে ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া দুটোই হারাম।
ইসলামে আত্মহত্যা কি হারাম?
ইসলামে আত্মহত্যা মহাপাপ। জীবন আল্লাহ তা’আলার দান, তাই নিজের জীবন নিজে শেষ করার অধিকার কারো নেই।
ইসলামে জাদু করা কি হারাম?
ইসলামে জাদু করা এবং জাদু শেখা দুটোই হারাম। জাদুবিদ্যা চর্চা করা শিরকের অন্তর্ভুক্ত।
ইসলামে ভাগ্য গণনা করা কি হারাম?
গণক বা ভবিষ্যৎ বক্তার কাছে গিয়ে ভাগ্য জানা বা কোনো বিষয়ে পরামর্শ নেওয়া ইসলামে নিষেধ।
ইসলামে নারীর নেতৃত্ব কি হারাম?
এ বিষয়ে ইসলামিক স্কলারদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। তবে, সাধারণভাবে নারীদের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
ইসলামে ডিভোর্স কি হারাম?
ডিভোর্স বা তালাক ইসলামে জায়েজ তবে এটি একটি নিকৃষ্ট কাজ। বিশেষ পরিস্থিতিতে যখন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ে, তখন তালাকের অনুমতি আছে।
ইসলামে হারাম কাজের তালিকা
এখানে একটি টেবিলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হারাম কাজ সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো:
হারাম কাজ | বিবরণ |
---|---|
শিরক | আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক করা |
সুদ খাওয়া | যেকোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে সুদের সাথে জড়িত হওয়া |
ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া | দুর্নীতি করা এবং অন্যের অধিকার হরণ করা |
জুয়া খেলা | সময়ের অপচয় এবং সমাজে লোভ ও হিংসা বিস্তার করা |
মাদক দ্রব্য সেবন | বিবেক-বুদ্ধিকে আচ্ছন্ন করে ফেলা এবং শরীর ও মনের ক্ষতি করা |
মিথ্যা কথা বলা | সত্য থেকে দূরে সরে যাওয়া এবং সমাজে অবিশ্বাসের জন্ম দেওয়া |
গীবত ও পরনিন্দা করা | অন্যের দোষ চর্চা করা এবং একজনের কথা অন্যজনের কাছে লাগানো |
আত্মহত্যা করা | আল্লাহর দানের অমর্যাদা করা এবং রহমত থেকে দূরে চলে যাওয়া |
অন্যের সম্পদ আত্মসাৎ করা | অন্যায়ভাবে অন্যের সম্পদ দখল করা |
ওজনে কম দেওয়া | মাপে কারচুপি করা এবং অন্যের অধিকার হরণ করা |
প্রতারণা করা | বিশ্বাস ভঙ্গ করা এবং ধোঁকা দেওয়া |
ছবি ও মূর্তি তৈরি করা | শিরকের দিকে ধাবিত হওয়া |
গান-বাজনা শোনা | অশ্লীল ও অনৈসলামিক বিনোদন |
পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার | পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ |
রেশমের পোশাক পরা | পুরুষের জন্য নিষিদ্ধ |
বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া | খারাপ উদ্দেশ্যে তাকানো এবং শালীনতা লঙ্ঘন করা |
পরকীয়া করা | বিবাহিত সম্পর্কে বিশ্বাসघातকতা |
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক | অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক |
সমকামিতা | প্রকৃতির বিরুদ্ধে কাজ এবং বিকৃত রুচি |
নারীদের পুরুষের বেশভূষা ধারণ | বিপরীত লিঙ্গের মতো পোশাক পরা বা আচরণ করা |
তাকদীর অস্বীকার করা | ভাগ্যের ওপর অবিশ্বাস |
গণকের কাছে যাওয়া | ভাগ্য জানার চেষ্টা করা |
অন্ধভাবে অনুসরণ করা | জ্ঞান ছাড়া কোনো কিছু অনুসরণ করা |
ইসলামের নামে মিথ্যা বলা | ভুল তথ্য ছড়ানো |
অযথা ঝগড়া করা | শান্তি বিনষ্ট করা |
প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া | অন্যের অধিকার লঙ্ঘন করা |
অহংকার করা | নিজেকে বড় মনে করা |
কৃপণতা করা | দান-সদকা না করা |
অপচয় করা | প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ করা |
খেয়ানত করা | বিশ্বাসघातকতা করা |
ওয়াদা ভঙ্গ করা | কথা দিয়ে কথা না রাখা |
মা-বাবার অবাধ্য হওয়া | তাঁদের মনে কষ্ট দেওয়া |
আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা | সম্পর্ক নষ্ট করা |
অশ্লীল কথাবার্তা বলা | খারাপ ভাষায় কথা বলা |
নামাজ ত্যাগ করা | ইসলামের স্তম্ভ ত্যাগ করা |
রোজা না রাখা | রমজানের রোজা ত্যাগ করা |
যাকাত না দেওয়া | যাকাতের বিধান অমান্য করা |
হজ না করা | হজ পালনে অক্ষমতা প্রকাশ করা |
ইসলামের বিধান অমান্য করা | শরীয়তের বিধান লঙ্ঘন করা |
এই তালিকাটি আপনাকে ইসলামে নিষিদ্ধ কাজগুলো সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দিতে সাহায্য করবে।
করণীয়
ইসলামে নিষিদ্ধ বিষয়গুলো জানার পাশাপাশি আমাদের উচিত সেগুলো থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখা এবং আল্লাহর পথে চলা। মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন। মন থেকে দোয়া কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে পারেন।
উপসংহার
ইসলামে নাজায়েজ বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার মূল উদ্দেশ্য হলো, আপনাকে একটি সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের সবার উচিত এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা এবং এগুলো থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জীবন যাপন করার সুযোগ দিন। আমিন।
যদি আপনার এই বিষয়ে আরও কিছু জানার থাকে, তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে আমরা প্রস্তুত।